করোনাকালীন এই সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার লক্ষ্যে গত ২৯ অক্টোরব, ২০২০ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর, ২০২০ তারিখে স্বাক্ষরিত সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে অধিদপ্তর । এতে প্রতিটি বিষয় সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অর্থাৎ শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং জেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বগুলি সুস্পষ্টভাবে বন্টন করা হয়। ৩০ কার্যদিবসের সংক্ষিপ্ত এই পাঠ্যসূচি যাতে সুচারুভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য উপস্থাপিত হয় এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় সেই লক্ষ্যেই এই মূল্যায়ন নির্দেশনাটি প্রকাশ করা হয়। নিম্নের ডাউনলোড লিংক থেকে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনাটি ডাউনলোড করা যাবে।
নির্দেশনা সমূহ থেকে নিম্নে শিক্ষকদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য যথাক্রমে যে সকল নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে তা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো।
শিক্ষকের প্রতি মূল্যায়ন নির্দেশনা
এখানে শিক্ষকের মূল্যায়ন পরিমাপের নির্দেশক অংশটুকু তুলে ধরা হলো। একজন শিক্ষক একটি শ্রেণীর একটি বিষয়ের সবগুলো অ্যাসাইনমেন্ট এর সামগ্রিক মূল্যায়ন এর উপর ভিত্তি করে মন্তব্য করবেন (যেমন: অতি উত্তম, উত্তম, ভালো ও অগ্রগতি প্রয়োজন)। এগুলো পরিমাপের নির্দেশক নিচে দেয়া হল-
- (ক) অতি উত্তম:
_ বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা।
_ লেখায় তথ্য, তত্ত্ব ও ও সূত্র পাঠ্যপুস্তক এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
_ লেখায় লক্ষনীয় নিজস্বতা বা সৃজনশীলতা।
- (খ) উত্তম:
_ বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা।
_ লেখায় তথ্য, তত্ত্ব ও সূত্র পাঠ্যপুস্তক এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
_ লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা আছে তবে তা লক্ষনীয় নয়।
- (গ) ভালো:
_ বিষয়বস্তুর সঠিকতা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব।
_ লেখায় তথ্য, তত্ত্ব, সূত্র ও ব্যাখ্যা আংশিকভাবে সঠিক।
_ লেখার সামান্য নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা।
- (ঘ) অগ্রগতি প্রয়োজন:
_ বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতার অভাব।
_ লেখায় তথ্য, তত্ত্ব ও সূত্র পাঠ্যপুস্তক এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
_ লেখায় নিজস্বতা বা সৃজনশীলতার অভাব।
শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
(১) শিক্ষার্থীদের শিখন ফল অর্জনই মূল উদ্দেশ্য। পরবর্তী শ্রেণীর পাঠ গ্রহণের ক্ষেত্রে এটি সুবিধা প্রদান করবে তাই এটি জরুরী।
(২) এ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে এনসিটিবি প্রণীত ও প্রকাশিত ২০২০ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করলেই চলবে। গাইড বই, নোট বই বা বাজার থেকে কেনা নোট বই এর প্রয়োজন নেই ।
(৩) মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নিজস্বতা, স্বকীয়তা ও সৃজনশীলতা যাচাই করা হবে। তাই অন্যের লেখা নকল করে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিলে তা বাতিল করা হবে এবং পুনরায় সেই এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে।
(৪) এ্যাসাইনমেন্ট সরাসরি নিজের হাতে লিখতে হবে। এতে হাতের লেখার যেমন অনুশীলন হবে, তেমনি বিষয়টি বুঝতেও সুবিধা হবে।
(৫) এ্যাসাইনমেন্ট লেখার ক্ষেত্রে যে কোন কাগজ ব্যবহার করলেই চলবে। তবে কাভার পৃষ্ঠায় নাম, শ্রেণী, রোল, বিষয় (সাবজেক্ট) ও এ্যাসাইনমেন্ট এর শিরোনাম/ধরণ স্পষ্ট ভাবে লিখতে হবে।
অভিভাবকগণের প্রতি পরামর্শ
(১) শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে উৎসাহিত করা।
(২) শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া মূলত তাদের শিখন অর্জন যাচাই এবং কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে শিখনের ঘাটতি রয়েছে তা নিরূপণ করা। তাই শিক্ষার্থী নিজে যাতে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তা নিশ্চিত করা।
(৩) শিক্ষার্থীদের অনুধাবন ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।
(৪) শিক্ষার্থী যেন সময়মত এ্যাসাইনমেন্ট পায় এবং তা যেন যথাসময়ে জমা দিতে হয় তা নিশ্চিত করা।
(৫) নোট বই, গাইড বই বা অন্য কারও লেখা থেকে নকল করে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিলে তা বাতিল করা হবে এবং পুনরায় এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। এ্যাসাইনমেন্ট তৈরীর সময় শিক্ষার্থী যেন নোট বই বা গাইড বইয়ের সাহায্য না নেয়, বা অন্য কারও লেখা থেকে নকল না করে তা লক্ষ্য রাখা।
চতুর্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করুন
তৃতীয় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করুন
দ্বিতীয় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করুন
মূল্যায়ন নির্দেশনা ডাউনলোড করুন
পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি ডাউনলোড করুন
পরেন এসাইনমেন্টগুলো প্লিজ দিয়েন
ReplyDeleteজ্বি দিবো ইন শা আল্লাহ।
DeleteThanks very much..
ReplyDelete