Friday, January 11, 2019

ICT teachers list | ২০১৬ সালের গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে আইসিটি শিক্ষকদের নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা

http://edutechinfobd.blogspot.com
 ২০১৬ সালে এনটিআরসিএ-র মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে মোতাবেক সারা দেশের প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে e-Requisition এর মাধ্যমে চাহিদা তালিকা তৈরি করে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এবং মালমা জটিলতায় আইসিটি শিক্ষকদের নিয়োগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ স্থগিত করে দেয়। বিশেষ করে ছয় মাসের কম্পিউটার ডিপ্লোমা সনদধারীদের নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। অবশেষে মামলার জটিলতা এবং তথ্য প্রদানগত জটিলতার সমাধান হলে দীর্ঘ দুই বছর পর তাদের নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ফলে ১১.০১.২০১৯ তারিখে এনটিআরসিএ তাদের অফিসিয়াল সাইটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করে।
  • নোটিশটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
  • রিকোমেন্ডেশন লেটার অফ অ্যাপায়েন্টমেন্ট এখান থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার আইসিটি বিষয়টিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু কোন একটা অদৃশ্য কারণে আইসিটি শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রেই যত জটিলতা এবং নিয়ম কানুনের পাহাড় লক্ষ করা যাচ্ছে। উদ্ভট সব নিয়মের এবং নিয়ম পরিবর্তনের বেড়াজালে আইসিটি শিক্ষকরা বেশ অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছে। কখনো ছয় মাস, কখনো এক বছর, কখনো তিন বছর ইত্যাদি মেয়াদের ডিপ্লোমা সনদধারীদের আইসিটি শিক্ষক হওয়ার অনুমোদন দেওয়া এবং না দেওয়ার এক উভয় সংকট লক্ষ করা যাচ্ছে। কি করলে যে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বিল গেটস হয়ে যাবে তা আমাদের নীতি নির্ধারকরা মালুম করতে পারছেন না। ফলে জীবনের সূর্য সময় নষ্ট হচ্ছে হাজারো আইসিটি শিক্ষক এবং এই পদে আবেদনকারীদের। তারো আগে ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষকদের এমপিও বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এমতাবস্থায়, কোন মহা বিজ্ঞানী এদেশে আইসিটি শিক্ষক হতে আসবে তা বোধগম্য নয়। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হয় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রতিজনই যেন একটি করে মাইক্রোসফট কোম্পানি খুলতে পারে এসএসসি পাশের পরেই তেমন যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষককেই নিয়োগ দিতে হবে। পক্ষান্তরে, শিক্ষকরা বেতন পাবে না এই শর্তও (এমপিও বন্ধ) জুড়ে দেওয়া হয়। অত্যন্ত দু:খজনক যে, একজন লাইব্রেরিয়ানকে এমপিও দেওয়া হয় অথচ একজন আইসিটি তথা কম্পিউটার বিষয়ক শিক্ষকের এমপিও বন্ধ হয়ে যায় একবিংশ শতাব্দিতে, এ কেমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। অথচ লক্ষ করলে দেখা যাবে, প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকদের তুলনায় একজন আইসিটি শিক্ষকের বেশি কাজ থাকে এবং তা তাকে করতে হয়। যেটি প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকরাও স্বীকার করে থাকে। ই-মেইল পাঠানো, ই-মেইল চেক করা, অফিসিয়াল কাজ, আইসিটি ল্যাব রক্ষণাবেক্ষন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের যন্ত্রপাতি সেট আপ, মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের বিভিন্ন চিঠির জবাব টাইপ, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং অনলাইন ফর্ম পূরণ ইত্যাদি কাজগুলো ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে একজন আইসিটি শিক্ষককেই করতে হয়। এই পদের সকল শিক্ষকের জন্য রইলো শুভ কামনা।
উল্লেখ্য, ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে এনটিআরসিএ প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইতিমধ্যেই অনলাইন আবেদন গ্রহণ শেষ করেছে। যাচাই বাছাই চলছে এবং জানুয়ারি, ২০১৯ এর মধ্যেই  চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। প্রতি পদের বিপরীতে গড়ে ৭৮টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। অর্থাৎ সর্বমোট ৩১ লাখ আবেদন পড়েছে ৪০ হাজার পদের বিপরীতে। দেশের কি পরিমাণ নিবন্ধন সনদধারী বেকার সংখ্যা বেড়েছে এটি তারো একটি প্রমাণ দিচ্ছে।

0 comments:

__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__