Tuesday, December 18, 2018

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি ২০১৮



দীর্ঘ ২ বছর প্রতীক্ষার পর আবার বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলো এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৯/১২/২০১৮ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ০২/০১/২০১৯ তারিখ পর্যন্ত আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর (১২.০৬.২০১৮ তারিখ পর্যন্ত)। প্রার্থীকে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ১৮০/- টাকা ফি মোবাইলের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। এ সংক্রান্ত নিয়মাবলী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা আছে।
গত দুই বছর নিয়োগ কার্যক্রম নানা কারণে বন্ধ ছিল। এতে করে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী অনেকেরই আবার আবেদন করার বয়স পাড় হয়ে গেছে। বিভিন্ন জটিলতা এবং মামলার বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম। অবশেষে গত অক্টোবর, ২০১৮ থেকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও তা প্রকাশ করতে আরো দুই মাস সময় লেগে যায়। এবং ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখ কাঙ্ক্ষিত সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে প্রায় ৩৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানা যায়। প্রার্থীদের সর্তকতার সাথে বিজ্ঞপ্তিটি পড়ে নির্ভুলভাবে আবেদন ফর্ম পূরণ করার জন্য বলা হয়েছে। কেননা অসম্পূর্ণ এবং ভুল আবেদন নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধার কারণ হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। অন্যদিকে, ছয় মাসের কম্পিউটার সনদধারী আইসিটি-র  শিক্ষকদের নিয়োগে বাধা থাকলেও কোর্টের রায়ের কারণে সেই বাধা দূর হয়েছে। তবে নারী কোটার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে নাই। কেননা নিয়োগ যেহেতু কেন্দ্রীয়ভাবে হচ্ছে সেক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে কী হারে নারী কোটা শূন্য আছে তা এনটিআরসিএ-র পক্ষে খেয়াল রাখা সম্ভব নয়। কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে জাতীয়ভাবে তৈরিকৃত মেধা তালিকা থেকে। ফলে মেধার ভিত্তিতে যে এগিয়ে আছে সেই প্রার্থীই নিয়োগ লাভ করবে। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী আবার নারী কোটা পূরণ করার শর্ত থাকায় এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল এর আগের নিয়োগের ক্ষেত্রে। এইসব অর্থব নিয়মাবলীর কারণে বেকারদের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে আগ্রহ পায় না। শত শত পরিপত্রের বেড়াজালে কর্মকর্তারাও হিমশিম খায় যে, কোনটা মানবে কোনটা মানবে না। কোনটা বলবত আছে, কোনটা বাতিল করা হয়েছে। ফলে স্বচ্ছ, সহজ এবং সর্বজন বোধগম্য একটি নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন অতি জরুরী।
  • গণবিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
  • আবেদন করার নিয়মাবলী পেতে এখানে ক্লিক করুন।
  • এনটিআরসিএ এর অফিসিয়াল সাইট ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।
শুধু তাই নয়, বয়স সংক্রান্ত জটিলতাও এখন আরেকটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে যাচেছ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে। বিভিন্ন সময়ে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগে কোন বয়সের সীমারেখা না রাখার বিধান  থাকলেও, হঠাৎ করেই ২০১৮ এর  এমপিও নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে, এ বিষয়ে একটি রিট করা হয় ১৮/১২/২০১৮ তারিখে [ সূত্র ]। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা দূরীকরণে কারো সদিচ্ছা ও আগ্রহ তেমন পরিলক্ষিত না হওয়ায় অনিয়মের স্তূপ এখন পাহাড় সমান। নিয়োগ, ভর্তি, বেতন-ভাতা, বদলি, কোচিং বাণিজ্য, ঘুষ ইত্যাদি নানা দুর্নীতি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুশিক্ষার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কর্তৃৃপক্ষের তেমন কোন মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না।





0 comments:

__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__