Monday, September 16, 2019

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল-২০১৮



সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য গত ৩০ জুলাই, ২০১৮ ইং তারিখের বিজ্ঞাপনের আলোকে গৃহীত ৬১টি জেলার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জেলা ভিত্তিক রোল নং এর তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। ৬১টি জেলার জন্য সর্বমোট ৩৬২ পৃষ্ঠার পিডিএফ ফাইল আপলোড করা হয়। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আলাদা আলাদা করা পিডিএফ ফাইলগুলো একত্রিত করে নিম্নে আপলোড করা হয়েছে। এতে সর্বোমোট ৫৫,২৯৫ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর রোল নং প্রকাশ করা হয়। প্রসঙ্গত, ৪টি ধাপে এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ১২ হাজার আসনের বিপরীতে ১৭,৭৩,৯১৭ জন প্রার্থী অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। 
নির্দেশনাবলী :
  • উত্তীর্ণপ্রার্থীদেরকে স্ব স্ব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অফিস চলাকালীন সময়ে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখের মধ্যে তালিকায় প্রকাশিত নির্দেশনা মোতাবেক যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ৯ম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে জমাদানের জন্য বলা হয়েছে। জমাদানে ব্যর্থ হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় সনদপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের তালিকা নিম্নরূপ-
    • প্রার্থীর অনলাইনে আপলোডকৃত ছবি
    • আবেদনের কপি
    • লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র
    • নাগরিকত্ব সনদ
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসমূহ
    • মুক্তিযোদ্ধা সনদ
    • মুক্তিযোদ্ধার সাথে সম্পর্কের সনদ
    • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এতিম সংক্রান্ত সনদ
    • প্রতিবন্ধী সংক্রান্ত সনদ
    • পোষ্য সনদ
    • আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সনদ
    • উপজাতি সনদ
    • অন্যান্য যদি থাকে
  • মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডে প্রদর্শণের জন্য জমাদানকৃত সত্যায়িত সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনার জন্যও এতে বলা হয়েছে।

উত্তীর্ণদের ফলাফল দেখুন

  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখের মধ্যে প্রার্থী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানে ব্যর্থ হলে এবং এতে করে তাঁর মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু না করা হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিশাল সংখ্যার পদ খালি রয়েছে। কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে সেই পদগুলো পূরণ করতে। অন্যদিকে, দেশে দিন দিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হতাশা কাজ করছে তাঁদের মধ্যে। শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়ন করতে হলে এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদানকে কার্যকর করতে হলে শিক্ষক সংকট আগে দূর করতে হবে। সেই সাথে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষদের বিভিন্ন ধরণের অপূর্ণতা ও দাবী-দাওয়া সংক্রান্ত আন্দোলন প্রায়ই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। পক্ষান্তরে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ তথা সরকারের আন্তরিক ও শিক্ষাবান্ধব সিন্ধান্তই পারে শিক্ষার সামগ্রিক সমস্যা ও অসঙ্গতিগুলোকে দূর করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যুগোপযোগী শিক্ষা লাভের পথকে সুগম করতে। এতে করে সরকার যেমন বাহবা পাবে তেমনি জাতীয় উন্নয়নের জন্যও তা মহা নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। কেননা, শিক্ষা ও মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী করতে ব্যর্থ হলে, সে ব্যর্থতার দায় বর্তাবে সমগ্র জাতির। 


0 comments:

__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__