ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী কী এবং কতটা শিখতে পারলো তা যাচাই করার জন্যই ইংরেজি প্রথম পত্রে Open-ended প্রশ্নোত্তরের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন একজন পরীক্ষক এবং ফলস্বরূপ দেখা যায় এইচএসসি-তে শিক্ষার্থীদের নম্বর কম পাওয়ার বিষয়টি। আর গুরুত্বের সাথে দেখা বলতে যা বুঝাচ্ছি সেটি হলো, এই প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর ব্যাকরণগত দক্ষতা, ফ্রি হ্যান্ড লেখার দক্ষতা, চিন্তন দক্ষতা, নিজেকে ইংরেজিতে প্রকাশ করার দক্ষতা এবং প্রশ্নের কি-ফ্যাক্টর অর্থাৎ যে বিষয়টা জানতে চাওয়া হচ্ছে উত্তরের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী প্রাসঙ্গিকভাবে তা কতটুকুন লেখতে পারছে তা যাচাই করা । আর এসব কিছুর মান যাচাই করার উৎকৃষ্ট মাধ্যম হলো ওপেন-এন্ডেড কোয়েশ্চেন (Open-ended Question)। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে ভালো নম্বর পেতে পারে।
|
https://edutechinfobd.blogspot.com |
আর কীভাবে একজন শিক্ষার্থী ওপেন-এন্ডেড কোয়েশ্চেনে ভালো ও আশানুরূপ নম্বর পেতে পারে সে বিষয়েই আলোকপাত করা হবে। আমরা জানি এক্ষেত্রে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ২ নম্বর করে ৫টি প্রশ্নের জন্য মোট ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। তার আগে জেনে নেই নম্বর কম পাওয়ার মূল কারণগুলো কী কী। আমাদের শিক্ষার্থীদের একটা বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেছে যে, উত্তর আকারে বড় হলেই বুঝি বেশি নম্বর পাওয়া যায়। কিন্তু বিষয়টি পুরোপুরি ভুল ধারণা। এটি নম্বর কম পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। এছাড়াও যে বিষয়সমূহ নম্বর কম পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করে তা হলো-
- অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দেওয়া
- অবাঞ্ছিত শব্দ ব্যবহার
- প্রশ্নের সাথে উত্তরের ধারাবাহিকতা বজায় না রাখা
- প্যাসেজ থেকে হুবুহু কতক লাইন উত্তরপত্রে তুলে দেওয়া
- নিজের মতামত চাওয়ার ক্ষেত্রে তা অনুসরণ না করা
- গতানুগতিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের চর্চার বশবর্তী হয়ে উত্তর লেখা
- শিক্ষকরা উত্তর না পড়েই নম্বর দেয় এমন ধারণা পোষণ করা
- বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ায় ইংরেজিকে কম গুরুত্ব দেওয়া [ এটি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রচলিত ধারণা]
- পর্যাপ্ত চর্চার অভাব
- সর্বোপরি, বানানের বিষয়ে শর্ত না থাকা কিংবা ভুল বানান লেখা
এক্ষেত্রে দু একটি উদহারণ টেনে আলোচনা করলে বুঝতে সুবিধা হবে। যেমন, নিচের প্যাসেজটির কথাই যদি ধরি।
Ali is a student. He was born in 2002 and is now 17. He studies in a Govt. College. His father is a Govt. employee.
এখন যদি প্রশ্ন করা হয়-
তাহলে উপরে লিখিত নম্বর কম পাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা উত্তরে যেটি করে থাকে তা হলো, পুরো বাক্যটি প্যাসেজ থেকে হুবুহ কপি করে উত্তরপত্রে লিখে ফেলবে। এবং উত্তরটি হবে-
- He was born in 2002 and is now 17.
কিন্তু একজন পরীক্ষার্থী হিসেবে উত্তরপত্রে তাকে যে পুরো উত্তরটি গুছিয়ে লিখতে হবে সেটি সে ভুলে যায়। আর এটি ঘটে চর্চার অভাবে। আচ্ছা ঐ একই প্রশ্ন যদি কেউ করে যে, ‘তোমার বয়স কত?’ তাহলে আমি উত্তরে কী বলবো? এমনটি কি বলবো যে, ‘আমি ২০০২ সালে জন্মগ্রহণ করেছি এবং তাই আমার বয়স এখন ১৭।’ বিষয়টি কেমন অবাক করা ও হাস্যকর লাগে শুনতে। আর যদি তাই-ই হয় তাহলে বোর্ড পরীক্ষার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরীক্ষার্থী হিসেবে আমরা তা কী করে করতে পারি? কিন্তু এটি হয় তখনই যখন আমাদের চিন্তায় কাজ করে যে, একটু বেশি লিখতে হবে। নয়ত নম্বর পাওয়া যাবে না। আর তখনই অপ্রাসঙ্গিক ও অবাঞ্ছিত উত্তর আমাদের শিক্ষার্থীরা লিখে থাকে। যে কারণে পরীক্ষক তাতে সন্তোষ হন না। তাহলে সঠিক উত্তরটি কেমন হওয়া উচিত ছিল? সঠিক উত্তরটি হওয়া উচিত ছিল এমন-
প্রশ্নে আলীর নাম উল্লেখ না থাকলেও পরীক্ষার্থী হিসেবে আমার উচিত হবে আমি যে বিষয়টি বুঝে উত্তর করেছি তা পরীক্ষকের নিকট তুলে ধরা। একটি কথা আছে পরীক্ষার উত্তর সংক্রান্ত- Answer to the point অর্থাৎ ঠিক ঠিক জবাব দাও। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের মাথায় থাকে বড় বড় করে উত্তর লেখার প্রবণতা। তাই তারা অধিকাংশ সময়ই ঠিক ঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। উত্তরগুলো হয় অপ্রাসঙ্গিক।
অবশ্যই বুঝতে হবে যে, অন্যান্য বিষয়ের মতো ইংরেজি কোন বিষয় না। এটি আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মতোই একটি ভাষা। আর ভাষা জ্ঞান সহজ, প্রাঞ্জল এবং অর্থবোধক না হলে তাতে নিজেকে প্রকাশ করা যায় না। হোক সেটি বাংলা, আরবি, ফারসি কিংবা ইংরেজি ভাষা। উপরের উত্তরটির মধ্যে দিয়ে একজন শিক্ষক বা পরীক্ষক শিক্ষার্থীর ব্যাকরণগত জ্ঞান, বাক্যকে রিপ্রোডিউস করার দক্ষতা এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর দেবার দক্ষতাকে যাচাই করার প্রয়াস পান এবং তখন তিনি যথার্থ নম্বর প্রদানে সচেষ্ট হন।
Coleridge's poem, a ballad, narrates the harrowing sea-voyage of an old mariner who at
one point of his journey didn't have any water to drink because of a curse. Cursed or not, we know how important drinking water is in our life. We know we cannot survive
without it. In fact two-thirds of our body is made up of water. Not for nothing is it said
that the other name of water is life. Is there a crisis in our time with regard to access to
clean drinking water? The United Nations in a meeting on the eve of the new
millennium identified the drinking water problem as one of the challenges for the
future. But do we need to worry about the problem as ours is a land of rivers and we
have plenty of rainfall? [UNIT-8, LESSON-1 of your textbook]
- Ques: What is, according to the United Nations, one of the challenges for the future? Where was it identified?
- Ans: The United Nations in a meeting on the eve of the new millennium identified the drinking water problem as one of the challenges for the future.
অধিকাংশ শিক্ষার্থীই উপরের উত্তরটি লিখবে কেননা সে প্রশ্নের সাথে ঐ অংশের মিল খুঁজে পাবে এবং মন গড়াভাবে যতটুকু লিখতে ইচ্ছে করে ততটুকু লিখবে। আর অযথাই উত্তরটিকে আকারে বড় করবে। কিন্তু বিষয় হচ্ছে প্রশ্নে দুটি অংশ আছে এবং দুটি ধাপে সেই উত্তর করতে হবে, প্রশ্নের যেখানে শেষ সেখান থেকে শুরু করার মাধ্যমে। এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে করে প্রশ্নের সাথে উত্তরের ধারাবাহিকতা থাকে এবং উত্তরটি নান্দনিক হয়। যদি উত্তরটি নিম্নোক্তভাবে লিখা হতো তাহলে উত্তরটি আরো মান সম্পন্ন হতো বলে আশা করি।
- Ans: According to the United Nations, the drinking water problem is one of the challenges for the future. The challenge was identified in a meeting which was held on the eve of the new millennium.
উত্তরটিতে প্রশ্নের সাথে সঙ্গতি রয়েছে এবং দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, একজন শিক্ষার্থী প্রশ্নটি বুঝে প্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়েছে।
শুধু প্রশ্নোত্তর নয়, Writing Part যেমন, প্রশ্নোত্তরযুক্ত প্যারাগ্রাফ, ই-মেইল, গ্রাফ-চার্ট এবং থিম ইত্যাদির প্রতিটিকেই প্রশ্নের সাথে সঙ্গতি রেখে উত্তর করলে শিক্ষার্থী তার আশানুরূপ নম্বর পেতে বাধ্য। আর এর জন্য প্রয়োজন-
- যথাযথ উত্তর দেওয়া
- ব্যাকরণগত ভুল এড়ানো
- প্রশ্নের সাথে ধারাবাহিকতা রেখে উত্তর প্রদান
- পর্যাপ্ত চর্চা করা
- নির্ভুল বানান
- শব্দ ভান্ডার বাড়ানো
- হাতের লেখার প্রতি যত্নবান হওয়া
- উত্তরপত্র পরিচ্ছন্ন রাখা
0 comments:
__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__