Tuesday, May 21, 2019

ICT MCQ SSC- ১ম অধ্যায়


মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টিকে আবশ্যিক করা হয়েছে। অর্থাৎ ৬ষ্ঠ থেকে ১২শ শ্রেণি পর্যন্ত এই বিষয়টিকে আবশ্যিক করার পাশাপাশি এই বিষয়টির উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। কেননা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দ্ক্ষ করে গড়ে তোলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বর্তমান বিশ্ব তথ্য নির্ভর এবং বলা হয়ে থাকে, আজকের বিশ্বের সম্পদ হলো জ্ঞান। আর এই জ্ঞানকে সুদৃঢ় করে তোলবার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। সরকার  ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাই এই বিষয়টির ‍উপর গুরুত্ব দিচ্ছে একেবারে শুরু থেকে। বিষয়টির মাধ্যমিক পর্যায়ে এর পরীক্ষা পদ্ধতিও বেশ ভিন্ন অন্য যে কোন শ্রেণির পরীক্ষার তুলনায়। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে এটিকে সঠিকভাবে আত্মস্থ করার জন্য এর মান বন্টন ও পরীক্ষার পদ্ধতি নির্ণয় করা হয়েছে।  সে লক্ষ্যে বোর্ড এই বিষয়টির মান বন্টনের ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করেছে।
  • ২৫ নম্বর নৈর্ব্যক্তিক এবং 
  • ২৫ নম্বরের ব্যবহারিকসহ মোট ৫০ নম্বরের বোর্ড পরীক্ষা পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে 
  • এছাড়াও রয়েছে প্রতিবেদন বা অ্যাসাইনমেন্ট
শিক্ষার্থীরা একটু পরিশ্রম করলেই খুব সহজেই এই বিষয়টিতে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের যে সিলেবাসটি রয়েছে সেটি মাধ্যমিক পর্যায়ের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশ কঠিন এবং পরিধিও বেশ বড়। তাই শিক্ষার্থীদের উচিত হবে বিষয়টি সম্পর্কে পূর্বে থেকে অধিক সিরিয়াস বা আন্তরিক হওয়া। পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি নিজেদের আইসিটি বিষয়ক জ্ঞানকে আরো প্রসারিত করার জন্য অন্যান্য বই পড়া এবং কম্পিউটার ও অনলাইন বিষয়ক বিষয়াদির প্রতি আগ্রহী হওয়া।

এই পোস্টে আমরা নবম শ্রেণির আইসিটি পাঠ্যপুস্তকের প্রথম অধ্যায়টির এমসিকিউগুলো জানবো। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য ডায়নামিক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ সাথে সাথেই এর উত্তর সমূহ শিক্ষার্থীর জানতে পারবে। কতটি উত্তর সঠিক হলো সেটিও সাথে সাথে জানতে পারবে। এবং বারংবার পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের পাঠ্য জ্ঞানকে সুদৃঢ় করতে পারবে। এ অধ্যায়ের পাঠ শেষে শিক্ষার্থীরা-
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবে;
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অবদান সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারবে;
  • বাংলাদেশে ই-লার্নিংয়ের ‍গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে;
  • বাংলাদেশে ই-গভর্ন্যান্সের প্রযোজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে পারবে;
  • বাংলাদেশে ই-সার্ভিসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে;
  • বাংলাদেশে ই-কমার্সের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে;
  • বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করতে পারবে;
  • সামাজিক যোগাযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে পারবে;
  • বিনোদনের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ইতিবাচক দিকগুলো ব্যাখ্যা করতে পারবে; এবং
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
এ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পাঠসমূহ হলো-
একুশ শতক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব; ই-লার্নি ও বাংলাদেশ; ই-গভর্ন্যান্স ও বাংলাদেশ; ই-সার্ভিস ও বাংলাদেশ; ই-কমার্স ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটি; সামাজিক যোগাযোগ ও আইসিটি; বিনোদন ও আইসিটি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ।








3 comments:

__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__