Skip to main content

Quota System BD- কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি


কোটা বাতিল প্রজ্ঞাপন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
অবশেষে মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদনের পর আজ ০৪ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখ বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করলো। দীর্ঘ কয়েক মাস আন্দোলনের ফলে সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের বিষয়টিকে গুরুত্বে এনে এই সিদ্ধান্ত নেয়।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই পরিপত্রটি জারি করে। 
এর আগে ২ জুলাই, ২০১৮ তারিখে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সিনিয়র সচিব-সংসদ বিষয়ক বিভাগ, সচিব-অর্থ বিভাগ, সচিব-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সচিব-জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সচিব-বাংলাদেশ কর্ম কমিশন সচিবালয় এবং ভারপ্রাপ্ত সচিব-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। 
পক্ষে বিপক্ষে কথা থাকলেও সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেননা, কোটা একটি জলিট প্রকিয়া এবং চাকুরির ক্ষেত্রে কোটার বিভিন্ন ধাপ অনুসরণ করে নিয়োগ প্রক্রিযা সম্পন্ন করা একটা ঝামেলাপূর্ণ ব্যবস্থাই বটে। তাছাড়া এতে করে সৃষ্ট জটিলতার ভোগান্তি প্রার্থীকেই পরবর্তীতে পোহাতে হয়। তাছাড়া রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য কোটা পদ্ধতি আদৌ কতটা সহায়ক সে  প্রশ্ন থেকেই যায়। পক্ষান্তরে, মেধাবীরা দিনকে দিন পিছিয়ে যায় এবং সমাজের মেধাবীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য চাকুরি কোটার ব্যবস্থা রাখার চেয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তি বিভিন্ন পন্থা বের করা যেতে পারে। কেননা,  একজন মেধাবী যদি কোটার কাছে হেরে যায় তবে সে হার হবে আমাদের সবার- রাষ্ট্রের এবং সমাজের। একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরিতে অনেক পথ, সময় এবং অর্থ খরচ করতে হয়। সে অর্থে মেধাবীরা রাষ্ট্রের সম্পদ। 
অন্যদিকে, পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার জন্য কোটা ভিত্তিক যে পদ্ধতি আমরা অনুসরণ করছি তাতে করে হয়তো ঐসব পরিবারের অর্থ উপার্জনের একটা উপায় মিলে কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি মিলে কতটা সেটিও ভাববার বিষয়। ফলে, প্রচলিত অবস্থায় তরুণদের মধ্যে যে উৎকণ্ঠা ও অস্থিরতা বিরাজ করে একজন চাকরীপ্রার্থী হিসেবে সেটিও ভাববার প্রয়োজন রয়েছে রাষ্ট্রের। কেননা, গুটি কয়েকের জন্য পুরো সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা অস্থির করার সুযোগ আজকের সভ্য সমাজে প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আর প্রয়োজন যে নেই, সেটি বুঝিয়ে দিয়েছে এদেশের তরুণরাই কোটা নামক বিষ ফোঁড়া উপ্রে ফেলার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। দেশ সবার, দেশের সম্পদ এবং সুযোগ-সুবিধা সবার এবং সেটি সমান হওয়াও বাঞ্ছনীয়। এটি বৈষম্য দূরীকরণেও কাজ করবে। অন্যদিক, কোটা নয় বরং সবার চাওয়া হতে পারে শিক্ষাগ্রহণের সমান সুযোগ এবং শিক্ষাখাতের ভর্তুকি বাড়িয়ে হলেও সবাইকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। তখন আর কোটা নিয়ে কেউ আসবে না। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত চাকুরি প্রার্থীরা তখন নিজেদের প্রমাণ করবে শিক্ষা ও জ্ঞানের লড়াইয়ের মাধ্যমেই। আমাদের তরুণরা হয়ে উঠুক বিশ্ব প্রতিযোগিতার যোগ্য প্রার্থী হয়ে, কোন কোটার করুণায় কেবল টিকে থাকার জন্য তাদের জীবন নয়। 


Comments

Popular posts from this blog

SSC Board Question 2020 | ২০২০ সালের এসএসসি বোর্ড প্রশ্ন

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গতবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী কমেছে সাড়ে ৮৭ হাজার। চলতি বছর ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি, ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী দাখিল এবং ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫জন শিক্ষার্থী এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শিক্ষা ও প্রযুক্তি সাইটে উক্ত পরীক্ষার সকল প্রশ্ন ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে যাতে করে পরবর্তী বছরগুলোতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলো অনুশীলন ও পর্যালোচনার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুতিকে আরো বেগবান করতে পারে। বাকী প্রশ্নগুলো পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই আপলোড করা হবে। বোর্ডকর্তৃক যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপ- পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের তাদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/ রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষ...

SSC Board Questions | এসএসসি সকল বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯

বিগত ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর ২১ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এবার মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা হলো ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন।  শিক্ষা ও প্রযুক্তি সাইটে উক্ত পরীক্ষার সকল প্রশ্ন ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে যাতে করে আগামী বছরগুলোতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলো অনুশীলন ও পর্যালোচনার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুতিকে আরো বেগবান করতে পারে। ২০২০ সালের প্রশ্নগুলো পেতে নিম্নে প্রদত্ত লিংকে ভিজিট করুন। https://edutechinfobd.blogspot.com যথারীতি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলোর মধ্যে সব শিক্ষার্থীর মাঝে ইংরেজি ও গণিত পরীক্ষা নিয়ে একটা আলাদা টেনশন লক্ষ করা যায়। এ বছর এসএসসি ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় ৪নং সেটের প্রশ্নপত্রটি নির্বাচিত হয়। তিন ঘন্টার এই পরীক্ষায় পুরোটায় লিখিত। অর্থাৎ ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে এবং অন্যান্য বিষয়ের মতো এই পরীক্ষায় কোন নৈর্ব্যক্তিক থাকে না। পরীক্ষায় যে সকল প্রশ্ন বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে সেগুলো হলো- প্রথম সিন প্যাসেজটি এসেছে বোর...

JSC Board Question | বিভিন্ন বছরের জেএসসি পরীক্ষার বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ

জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষাটি ২০১০ সালে শুরু হয়। ৮ম শ্রেণিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বোর্ড পরীক্ষাটি শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার মধ্য দিয়ে তাকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে হয়। জেএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য না হলে কোন শিক্ষার্থী পরবর্তী শ্রেণি অর্থাৎ ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে না। ফলে শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়বে। কাজেই একজন শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক পাশের জন্য এই ধাপটিতে উত্তীর্ণ হওয়া অত্যন্ত জরুরী। পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল করার জন্য নিয়মিত প্রস্তুতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেক্ষেত্রে প্রচলিত সিলেবাস অনুযায়ী বিভিন্ন বছরের বোর্ড পরীক্ষায় আসা প্রশ্নসমূহের বিশ্লেষণ দ্বারা একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুসরণ করলে প্রস্তুতিটি স্বার্থক হয়। আর এই বিষয়টিকে আমলে নিয়ে edutechinfobd ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছরের পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ অনলাইনে সংরক্ষণ করার কাজ শুরু করেছে। এটিকে জেএসসি পরীক্ষার বিগত বছরগুলির প্রশ্ন ব্যাংক কিংবা আর্কাইভ হিসেবে তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, শুধুমাত্র শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষদেরও অনেক সময় বিগতবছরের প্রশ্নের তথ্য উ...

© EdutechinfoBD 2017-2025