অনলাইনে আয়ের হিড়িক পড়েছে। সবাই নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য এখন অনলাইনের দিকে ছুটছে। ছুটবেই বা না কেন; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তি সব কিছুতেই এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করছে। কাজে এনেছে অভাবনীয় গতি। গতি এসেছে ব্যবসা বাণিজ্য এবং আয়েও। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন উৎস। কিন্তু একটা জিনিস কি লক্ষ করেছে যে, অনলাইনে আয়ের মূল দিকটাই হলো আপনার জ্ঞান। এখানে এমন কোন কাজ বা কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়নি যেখানে আপনি না জেনে কাজ করতে পারবেন এবং আয় করতে পারবেন। কম করে হলেও আপনাকে কম্পিউটারের সর্বনিম্ন বা বেসিক বিষয়গুলো জানতে হবে। আর কম্পিউটারের সব কিছুই শিক্ষার সাথে জড়িত। জড়িত রয়েছে ইংরেজি জ্ঞানও। আমি এখানে খুব সাধারাণ কিছু কথা বলছি। আপনি হয়ত জেনেও থাকবেন সে বিষয়গুলো। কিন্তু মানুষ তো ! অনেক কিছু জেনেও ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি এখানে যে বিষয়টি আলোকপাত করতে চাচ্ছি সেটি হলো অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে দুটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে-
১। পড়ার অভ্যাস বা জানার আগ্রহ এবং২। ধৈর্য অর্থাৎ সময় দিতে হবে।
অনলাইনে আয় করতে গেলে পরে আমাদের একটি বিষয় সহজেই ধোঁকা দেয় তা হলো শর্ট-কাট পদ্ধতি। এখানে মানে অনলাইনে অনেকেই আসে অল্প সময়ে কীভাবে আয় করা যাবে সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে। ফলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অধিকাংশই হতাশ হয়ে ফিরে যায়। আমাদের এখনো ধারণা এমন যে, কয়েকটা ক্লিক করলেই যেহেতু কম্পিউটার কাজ করে দিতে পারে, সেহেতু অনলাইনে আয়টাও বুঝি তেমনি কিছু একটা। আদতে বিষয়টা ঠিক উল্টো। অনলাইনে যারা থাকে বা কম্পিউটার ভিত্তিক যেসব কাজ মানুষকে করতে হয় তার সবটাই হলো দক্ষতা ও জ্ঞান ভিত্তিক। আপনার যদি সেই দক্ষতা ও জ্ঞান কোনটাই না থাকে তবে অনলাইন থেকে আয় করা খুবই কঠিন আপনার জন্য। তবে অসম্ভব বলছি না। এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য উপরের দুটি পয়েন্ট বা বিষয় আপনার জন্য অতি জরুরি। এ দুটি আপনাকে অবশ্যই সফলতা এনে দিবে। আমাদের বাংলাদেশের অনেক সফল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যাদের সফলতার মূলেই রয়েছে তাঁদের ত্যাগ এবং বছরের পর বছর সাধনা ও জ্ঞানার্জন করে নিজেকে দক্ষ করে তোলার ইতিহাস। আপনাকে আমাকেও ঠিক সেই কাজটিই করতে হবে। এর বিপরীতে অন্য কোন উপায় আছে কিনা তা আমার জানা নেই। একটা কথা না বললেই নয়, আমি এখানে বিনা বা একেবারে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে আয়ের দিকটা ইঙ্গিত করছি। অথার্ৎ আপনি যদি একেবারে নতুন কোন ব্যক্তি হোন বা আপনার অনলাইনে আয়ের কোন অভিজ্ঞতা নেই সেক্ষেত্রে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে আপনি এ সংক্রান্ত জ্ঞান অনায়াসেই অর্জন করতে পারবেন। আর এই অর্জিত জ্ঞান আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়ত করবে। ফলে, আপনি দিক নির্দেশনা লাভ করতে পারবেন এবং একই সাথে আপনার আগ্রহের দিকটাও বা কোন বিষয়টি আপনার জন্য কাঙ্ক্ষিত সফলতা আনতে সক্ষম হবে সেটিও আবিষ্কার করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে শুরুতে পড়তে হবে। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পড়তে হবে। আমাদের এখানে না পড়েই বা না জেনেই কোন কিছু করার আগ্রহটা বেশি। যে কারণে আমাদের সিদ্ধান্তগুলো সফলতা পায় না। না পড়ে না জেনে অন্য কোন কাজ করা গেলেও কম্পিউটার বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তা একেবারেই অসম্ভব। একটা বিষয় কি কখনো লক্ষ করেছেন, এই যে আপনি আমি বা আমরা গুগলে যখনই যে বিষয়ে সার্চ করি সে বিষয় সম্পর্কে কত শত তথ্য সামনে চলে আসে। এই তথ্যগুলি কি কাল্পনিক নাকি এগুলো এমনিতে আপনার বা আমার সামনে এসে হাজির হচ্ছে। না, পৃথিবীর কোন না কোন প্রাণ্ত থেকে কেউ না কেউ সে বিষয়ে জানছে এবং জানার পর সেই তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্ববাসীর জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য এবং তা থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে যে কেউ-ই আপনাকে প্রতারিত করতে পারে। অনলাইন দুনিয়ায় হাজারো বিষয় রয়েছে। রয়েছে লোভনীয় সব আয়ের প্রস্তাব। কিন্তু না জেনে পা বাড়ালে আর্থিক সচ্ছলতার পরিবর্তে কোন প্রতারককে অর্থ দিয়ে শর্ট-কাটে আয় করার মানসিকতায় আপনি হয়তো আরো ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন। অর্থাৎ আপনার যদি তেমন অার্থিক সুবিধা না থাকে তাহলে আপনি ধার দেনা করে যে অর্থ দিয়ে কারো কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা পেতে চাইছেন সে অর্থও হয়তো জলে যেতে পারে। চারপাশে ইন্টারনেট থেকে কিংবা অনলাইন থেকে সহজেই আয় করুন অথবা প্রতিদিন আয় করুন কমপক্ষে ১০০ ডলার, ঘরে বসে শুয়ে বসে দুই ঘন্টায় আয় করুন প্রতিদিন ১০-১০০ ডলার ইত্যাদি বিজ্ঞাপনে আপনি হয়ত প্রভাবিত হতে পারেন। হওয়াটাও স্বাভাবিক কিছু না। আপনার কাছে হয়ত মনে হবে, অনেকেই আয় করছে শুনেছি। তাহলে আপনিও পারবেন। বিষয়টা কি তাই?
একবার ভাবুন তো আপনি কি কাউকে অযথাই বিনা কারণে কোন কাজ না করিয়ে অর্থ দিবেন? না, দিবেন না। আমিও তাই-ই করবো। তাহলে কে এমন আছে যে আমাকে আপনাকে বিনা পরিশ্রমে পারিশ্রমিক দিবে। যা ঘটে তা হলো প্রতারিত হওয়া। আপনার অজ্ঞানতার ও সরলতার সুযোগে কেউ একজন আপনাকে প্রতারিত করছে। কিন্তু আপনি কেন প্রতারিত হবেন। আপনার হাতে আছে স্মার্ট ফোন কিংবা আপনি ঘরের সাজিয়ে রেখে মুভি বা গান শোনা কিংবা গেমস খেলার জন্য ব্যবহার করছেন কম্পিউটার এবং সেগুলোতে আছে ডাটা কিংবা আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগ। তাহলে আপনি কেন অন্যের কথায় প্রভাবিত হবেন। আগে জানুন বুঝুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন। মূল বিষয় হচ্ছে আপনাকে জানতে হবে। আর জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে। বলা হয় আজকের পৃথিবীর সম্পদ হলো জ্ঞান। আর জ্ঞানার্জন ছাড়া অনলাইন থেকে আয়ের কথা কেবল বোকারাই বলতে পারে। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ুন। অনলাইনে আপনার নিজের দরকারি বিষয়টিই পড়ুন। আর পড়া ও জানা আপনার প্রধান পুঁজি এবং এর পরের ধাপই হলো আয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আপনি আয় করবেন এই হলো মূল বক্তব্য। মনে রাখতে হবে আমরা যারা অনলাইন থেকে আয়ের কথা চিন্তা করি তাঁদের বেশির ভাগেরই কম্পিউটার ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে না। বিভিন্ন বিভাগ ও ডিপার্টমেন্ট থেকে এসে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে আয়ের চিন্তা করি। সেক্ষেত্রে আমাদের জানার আগ্রহ থাকতে হবে আরো কয়েকগুণ বেশি। নয়ত অসম্ভবই থেকে যাবে আপনার আমার মিশন। একই সাথে নিজের সৃজনশীলতার পরিধিকে বাড়াতে গেলেও জ্ঞানের চর্চা করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, লোগো, গ্রাফিক্স বা ওয়েব ডিজাইনের মতো কাজগুলো বেশ সৃজনশীল ও ক্রিয়েটিভ। নান্দনিকতার ছোঁয়া দিয়েই অন্যকে আকর্ষণ করে কাজ বাগিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারগুলোর অপশনের ব্যবহারও আপনাকে পড়েই জানতে হবে। কোর্স করেও আপনি সব শিখতে পারবেন না। কেননা, টেকনোলজি একটি চলমান প্রক্রিয়া। পড়তে পড়তে, জানতে জানতে ও কাজ করতে করতে আপনি এক সময় দক্ষ হয়ে উঠবেন।
চলুন, এবার ধৈর্য ও সময় দেওয়াটা কী তা জানি। অনলাইনে আয় করার জন্য যে সকল পদ্ধতিগুলো আছে সেগুলো হলো- ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েশন মার্কেটিং, ব্লগিং ও ইউটিউবিং ইত্যাদি। এগুলো প্রত্যেকটির আবার রয়েছে শাখা-প্রশাখা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে রয়েছে হাজারো কাজ। অ্যাফিলিয়েশনে রয়েছে বহু নামি দামি কোম্পানি। ব্লগিংয়ে রয়েছে অসংখ্য নিশ (Niche), মানে পাঠকে চাহিদা অনুযায়ী টপিক বা বিষয়বস্তু। ইউটিউবেও তাই।
➥➥ ফ্রিল্যান্সিংয়ে অগণিত কাজ রয়েছে। ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখা, ছবি সম্পাদন, ডেটা এন্ট্রি, ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট, অনুবাদ, ভিডিও এডিটিং, লোগো ডিজাইন, অ্যাপ তৈরি, সফটওয়্যার তৈরি, ওয়ার্ডপ্রেস, অ্যানিমেশন ইত্যাদি আরো কত কী। সেগুলোর মধ্যে থেকে অন্তত কয়েকটা আপনাকে জানতেই হবে। কেননা, নতুন অবস্থায় নির্দিষ্ট একটা বিষয় বা সেক্টরে কাজের আবেদন করে আপনি হয়ত কাজটিকে বিড করতে নাও পারেন। কতক কাজ জানা থাকলে একটু সুবিধা হয়। অর্থাৎ ভাগ্যের জোরে যদি তাড়াতাড়ি কোন কাজ পেয়ে যান সেটি আলাদা বিষয়। আর যদি স্বাভাবিক নিয়মে কাজ পেতে হয় তাহলে এখানে সময় দিতে হবে। ফাঁকে ফাঁকে নিজেকে দক্ষ হিসেবে তৈরি করতে কাজ শিখতে হবে। আর যদি একেবারেই কাজ জানা না থাকে তাহলে আগ্রহের বিষয়টি সম্পর্কে কোর্স করতে হবে। সেখানেও সময়ের দরকার।
➦➦ সময় দরকার অ্যাফিলিয়েশনে। কেননা, আপনার পরিচিতি, অ্যাফিলিয়েশন প্রোফাইল তৈরি বা বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েশন সাইট থেকে নিজের রেফাল লিংক তৈরির জন্য ঐসব অ্যাফিলিয়েশন সাইটগুলো থেকে অ্যাপ্রুভাল পাওয়া এসবই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাছাড়া আপনার একটা ওয়েবসাইট থাকা বাঞ্ছনীয় এবং সেখানে ভালো পরিমাণে দৈনিক ভিজিটর থাকা অতি জরুরি। তা না হলে অনেক অ্যাফিলিয়েশন সাইট আপনার আবেদন রিজেক্ট করে দিবে। কাজেই একটি সম্পূর্ণ পেশাদার ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে ভিজিটর আনা সময় সাপেক্ষ ও ধৈর্যের ব্যাপার। লেগে থাকার ব্যাপার। আশা করি বুঝতে পারছেন কেন আপনার সময় দেওয়াটা জরুরি।
➥➥ ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য। তবে পার্থক্য হলো আপনার লেখায় ভিজিটরদের বা পাঠকদের উপকার হয় এবং তথ্যবহুল হয় এমন কিছু থাকতে হবে। পাঠক বা ভিজিটর তার সমস্যা সমাধানের জন্য যে বিষয়টি খুঁজছে তা যেন সহজেই সে আপনার সাইট থেকে পেয়ে যায় তা নিশ্চিত করা। কেননা, তাতে আপনার সাইটের প্রতি পাঠকদের আস্থা বাড়বে। ট্র্যাফিক বাড়বে। একই সাথে অনলাইনে মানুষ কোন বিষয়গুলো বেশি জানতে চায় এবং সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার কতটুকু জ্ঞান রয়েছে তার সমন্বয় করতে হবে। অর্থাৎ পাঠকের চাহিদা পূরণ করার আগে আপনাকে ঐ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। শুধু তাই নয়, আপনার টাইপিং স্পিড বাংলা ও ইংরেজিতে আশানুরূপ হওয়াও বাঞ্ছনীয়। আবার আপনার ব্লগের এক একটি পোস্ট গুগলে ইনডেক্স হতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নেয়। এরপর সেটি সার্চ ইঞ্জিনে আসে। সেক্ষেত্রে আপনাকে সময় দিতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। কাজেই সবই নির্ভর করছে আপনার পড়া, জানা ও সময় দেওয়ার উপর।
➦➦ ইউটিউবে ভ্লগিং (Vlogging) এখন বেশ জনপ্রিয় এবং এর চাহিদাও বেশ। প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারের এক বা একাধিক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে তাঁরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে টিউটোরিয়াল দিচ্ছে কিংবা লাইভে এসে ভিউয়ারদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান শেয়ার করছে। এক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব জরুরি। আপনাকে এর জন্য ভিডিও তৈরি এবং এডিটিং সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। অন্যদিকে, ইউটিউব সম্প্রতি তার মনেটাইজেশন অর্থাৎ ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের ক্ষেত্রে একটু কড়াকড়ি নিয়ম আরোপ করছে। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করতে বর্তমানে আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ মিনিট ভিডিও ভিউ হওয়ার শর্ত দুটি পূরণ করতে হবে। নচেৎ আপনি সেখান থেকে আয় করার সুযোগ পাবেন না। ফলে, এখানে সময় দেওয়াটা অতি জরুরি।
➥➥ সর্বোপরি, আপনি হতাশ হবেন না শেষ পর্যন্ত। কারণ, অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে জানার ও সময় দেওয়ার কোন বিকল্প নেই। লেগে থাকলে একদিন অবশ্যই আপনি সফলতার মুখ দেখবেন। আর তখন আপনি না চাইলেও আয় হতে থাকবে।
➥➥ সর্বোপরি, আপনি হতাশ হবেন না শেষ পর্যন্ত। কারণ, অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে জানার ও সময় দেওয়ার কোন বিকল্প নেই। লেগে থাকলে একদিন অবশ্যই আপনি সফলতার মুখ দেখবেন। আর তখন আপনি না চাইলেও আয় হতে থাকবে।
অনলাইন ক্যারিয়ারে সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।
0 comments:
__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__