Skip to main content

7 Bad Habits Destroying Your Brain ( যে ৭টি বদভ্যাস আপনার ব্রেইনকে নিরবে ধ্বংস করছে)

দোষে গুণে মানুষ। নিজেকে সার্বক্ষণিক সচেতন রাখা একটা দীর্ঘ চর্চার বিষয়। হঠাৎ করেই সু-অভ্যাসগুলো আপনি রপ্ত করতে পারবেন না। কিন্তু এই রপ্ত করতে না পারার সুযোগে বদভ্যাসগুলো পৃথিবীতে স্রষ্টাকর্তৃক প্রদত্ত সবচেয়ে দামী নিয়ামত এবং মহা মূল্যবান মানব ব্রেইন বা মস্তিষ্কটিকে আমাদের নিজেদেরই অজান্তে নিরবে শেষ করে ফেলে। অথচ সেই বদভ্যাসগুলো সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। মানি না। অনিদ্রা, পানির অভাব, চিনি, মানসিক চাপ, ধূমপান, অধিক আহার এবং সকালের নাস্তা পরিহার- এই ৭টি বদভ্যাস বা কারণই আপনার দেহের মহা মূল্যবান এবং অদ্বিতীয় যন্ত্রটিকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করছে ঘুন পোকার মতো। এবার চলুন জেনে নেই ঐ সাতটি কারণ কীভাবে আমাদের ব্রেইনকে ধ্বংস করছে।
https://edutechinfobd.blogspot.com/2019/02/7-habits-destroying-your-brain.html

 😟 ১।। মানসিক চাপ
মানসিক চাপ মানুষের সব সময়ের শত্রু। আর এই একই শত্রু মানুষের ব্রেইনকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। এবার চলুন জেনে নেই ঐ সাতটি কারণ কীভাবে আমাদের ব্রেইনকে ধ্বংস করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত মানসিক চাপ বেইনের জন্য ক্ষতিকর। কেননা, অধিক মানসিক চাপ সাধারণ সময়ের চেয়ে মানসিক চাপের থাকার সময় অপেক্ষাকৃত কম নিউরণ (মাইলিন) সৃষ্টি করে। উল্লেখ্য, নিউরণ মানবদেহের অন্যান্য কোষের মতোই এক ধরণের কোষ কিন্তু অন্য কোষের সাথে এর পাথর্ক্য হলো এটি শরীর বিভিন্ন অঙ্গের সাথে ব্রেইনের তথ্যাদি আদান-প্রদানে সাহাহ্য করে। অর্থাৎ এই বিশেষ কোষটি স্নায়ুবিক গঠনে সাহায্য করে এবং দেহের সাথে ব্রেইনের সিগনাল আদান-প্রদান করে থাকে। মানসিক চাপের কারণে এই মাইলিন নামক নিউরণ দুর্বল হয়ে পরে এবং আমাদের ব্রেইন থেকে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে সিগনাল প্রেরণে সমস্যা হয় বা দেরি হয়। শুধ তাই নয়, মানসিক চাপ আমাদের ব্রেইনের গঠন/আকৃতিকেও পরিবর্তন করতে পারে। মানিসক চাপের ফলে আমাদের ব্রেইনের উপকারি কোষগুলো ধ্বংস হয়ে কমে যেতে থাকে। এর ফলে ব্রেইনের এমন কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার কারণে মানুষের আবেগ-অনুভূতি এবং স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে। মানসিক চাপ আমাদের ব্রেইনকে ছোট করে ফেলার মতো ভয়াবহ কাজটিও করে থাকে। আর তাই, সুস্থ ব্রেইনের জন্য মানসিক চাপ পরিহার একান্ত জরুরি। ইতিবাচক চিন্তা এক্ষেত্রে আমাদেরকে সহায়তা করলেও দু:শ্চিন্তা মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। কাজেই দীর্ঘমেয়াদী দু:শ্চিন্তার আড়ালে আপনার মানসিক চাপের মতো বদভ্যাসটি গড়ে উঠতে পারে। দু:শ্চিন্তা পরিহারের সাথে সাথে মানসিক চাপও আশানুরূপভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়া, ব্যক্তি জীবনে সৎ থাকা এবং সৎ কাজের সঙ্গে জড়িত থেকে সু-অভ্যাস গঠন করলেও আমাদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব।
🛌 ২।। অনিদ্রা
সুস্থ থাকার সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো সাউন্ড স্লিপ বা সুনিদ্রা। কাজের সাথে অবসাদের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সংসার, অফিস-আদালত, ব্যক্তি জীবন ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। করতে হয় হরেক রকমের নিরলস কাজ ও পরিশ্রম। আর কাজের সাথে ক্লান্তি জড়িত। সেই ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। কথায় আছে, “বিশ্রাম কাজের অঙ্গ এক সাথে গাঁথা, নয়নের অংশ যেমন নয়নের পাতা।” নিয়মিত এবং কোন প্রকার বিরতি ছাড়া দৈনিক ৬-৮ ঘন্টার সুনিদ্রা আমাদের সুস্থতার লক্ষণ। একই সাথে এটি আমাদের ব্রেইনের সুস্থতা আনয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিদ্রার ফলে ব্রেইনে তৈরি হওয়া ক্লান্তিকর কোষগুলো দূরীভূত হয়। অন্যদিকে, অনিদ্রার (Insomnia) কারণে ব্রেইনের নিউরণ ধ্বংস হতে থাকে ফলে ব্রেইনের সাথে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় ব্যাঘাত ঘটে। ফলে স্মৃতিশক্তি এবং দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা দেখা দেয়। অবসাদগ্রস্ত হতে থাকে মানুষ। কাজে কর্মে মনোযোগ কমে যায়। কার্যক্ষমতা হারায় ব্রেইন। ব্রেইনের কোষগুলোর স্বাভাবিক কর্মশক্তি লোপ পেতে থাকে। যারা দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রা জনিত রোগে ভুগছে তাঁরা এর থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেক সময় ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হয়ে ঔষুধ সেবন করে থাকেন।
🥘 ৩ ।। সকালের নাস্তা পরিহার
শক্তিশালী ব্রেইনকে ধীরে ধীরে কর্মহীন বা কর্মে গতি রোধ করবার আরেকটি বদভ্যাস হলো সকালের নাস্তা পরিহার করা। সকালে আমাদের প্রত্যেকের অফিস-আদালত বা বিভিন্ন কর্ম থাকে। কিন্তু তাড়াহুড়া কিংবা ঘুম থেকে দেরি করে উঠার কারণে আমরা অফিসের দেরি হওয়াকে এড়াতে সকালের নাস্তা না করেই বেরিয়ে পড়ি কাজের উদ্দেশ্যে। আর যেটি মারাত্মক একটি বদভ্যাস। যা ধীরে ধীরে আমাদের স্বাস্থ্য এবং একই সাথে ব্রেইনেরও স্থায়ী ক্ষতি করে। দুর্বল করে ফেলে ব্রেইনের নার্ভাস সিস্টেমকে। বদভ্যাস টুকটাক মানুষের থাকতেই পারে। যদিও থাকা উচিত নয়। তথাপি, এমন সব বদভ্যাস আমাদের গড়ে তোলা উচিত নয় যাতে করে আমরা আমাদের সীমাহীন ও অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলি। গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ ও কিশোরদের মধ্যে এই বদভ্যাসটি বেশি হয়। গড়ে যাদের বয়স ১৯। গবেষণায় আরো পাওয়া যায়, সকালে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে ব্রেইনের ক্যামিকেল রিঅ্যাকশন ভালো হয়। সেলগুলো উজ্জীবিত হয় এবং সুন্দর অনুভূতির সৃষ্টি করে। কিন্তু তরুণরা সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে দিনের অন্য ভাগের খাবারগুলোর (মধ্যাহ্নভোজের পরের সময়) প্রতি মনোনিবেশ করে বেশি এবং পরিমাণের তুলনায় তখন মাত্রাতিরিক্তই খায়। আর এটি খাদ্যাভাসের পরিপন্থী। নিময় হচ্ছে সকালের নাস্তা বেশি করে খেতে হবে যাতে শরীর কাজের উপযোগী থাকে এবং পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। এবং ধীরে ধীরে যেহেতু দিনের কাজের চাপ কমে আসে, তাই দুপুর এবং রাতের খাবারের পরিমাণ তুলনামূলক কমিয়ে খেতে। অন্যদিকে, নারীরা ডায়েট করার নামে সকালের নাস্তা পরিহার করে। এতে করে তাঁরাও নিজের অজান্তে ব্রেইনের ক্ষতির করছে। তিন কোটির উপর  আমেরিকানদের গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যে, তাঁরা বিভিন্ন কারণে সকালের নাস্তা পরিহার করে। কারো সকালে খেতে হচ্ছে করে না, কারো অফিসে যাওয়ার তাড়া, কারো আবার অতিরিক্ত ওজন কমানো বা ক্যালরি কমানোর মতো কারণ রয়েছে। কিন্তু ভয়াবহ গবেষণা রিপোর্ট বলছে, তাঁদের মধ্যে ২৭ ভাগেরই হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এর মূল কারণই ছিল সকালে নাস্তা না করা। শুধু তাই নয়, একমাত্র সকালে নাস্তা না করার কারণে আপনার আরো অন্যান্য রোগ হওয়া সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। ডায়বেটিস, শক্তি কমে যাওয়া, শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া, নিবোর্ধের মতো আচরণ ইত্যাদি। আপনি হয়ত অবাকই হচ্ছেন। কিন্তু এগুলো সবই গবেষণালব্ধ ফলাফল। আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মাধ্যমে এসব তথ্য পেয়েছে।
🙏 ৪ ।। ধূমপান
ধূমপানের ক্ষতিকারক দিকসমূহ আলোচনা করার কিছু নেই। কম বেশি সবাই এ বিষয়ে আমার চেয়েও বেশি জেনে থাকবেন। মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গ ও কর্মে ধূমপানের বদভ্যাসের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং, ব্রেইনেও এর মারাত্মক ক্ষতি সাধন করার ক্ষমতা রয়েছে। সিগারেটের নিকোটিন ব্রেইনের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে সক্ষম। নিকোটিন ব্রেইনে এমনভাবে প্রভাব বিস্তার করে যে ধূমপায়ী যদি ধূমপান না করে তবে তার ব্রেইন অবসাদগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, ধীরে ধীরে এর ডোজের মাত্রা কিংবা সেবন ক্ষমতা বাড়তে থাকে। যে কারণে এক সময় যে ব্যক্তি দুই একটা সিগারেট শখের বশে পান করতো এখন তাঁর এক থেকে দুই প্যাকেট সিগারেট প্রয়োজন হয়। আর এরই মাঝে ধীরে ধীরে ব্রেইনের নিউরণগুলো তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। ধূমপায়ীর ব্রেইন তখন নিকোটিনের সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করে। নিকোটিন বা সিগারেট ছাড়া ধূমপায়ী তখন বেশিক্ষণ মনোযোগ দিয়ে তাঁর স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। শুধু তাই নয়, নিকোটিনের ফলে ব্রেইনে নতুন করে কোষ জন্মাতে বা বৃদ্ধি পেতে পারে না। বরং নিউরণ কোষগুলো ধীরে ধীরে আরো কমতে থাকে।
🥃 ৫।। পানি শূন্যতা
মানবদেহের ৭০ ভাগ পানি দ্বারা গঠিত। কাজেই পানি সর্বময় উপকারিতা ও গুরুত্বের কথা বলে শেষ করা যাবে না। পানিই মানবের জীবন। তবে অবশ্যই সেটি হতে হবে বিশুদ্ধ। দূষিত পানির বরং মৃত্যুর কারণও হতে পারে। শরীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে পানি অনেক বেশি কাজ করে থাকে। পৃথিবীতে পানিই একমাত্র নিয়ামত যেখানে খাদ্যের ৬টি উপাদানই এক সাথে পাওয়া যায়। অন্যদিকে, আমাদের ব্রেইনের চার ভাগের তিন ভাগই পানি। কাজেই শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে ব্রেইন সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে এর প্রভাবে মানুষের আচরণ তথা মুড বদলে যায়। ক্লান্তি ঘিরে ধরে আমাদের। শিশুদের ক্ষেত্রেও এটি পরিলক্ষিত হয়। আপনার শিশু বা সন্তান যদি কোন কারণ ছাড়া অবসাদগ্রস্ত হয়ে যায় কিংবা উত্যক্ত করে তবে ধরে নিবেন তার শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে বা সে পর্যাপ্ত পানি পান করছে না দীর্ঘক্ষণ। বেশি বেশি পানি পান করালে শিশুদের বিরক্ত হওয়ার এবং বিরক্ত করার দুটো দিকই নিয়ন্ত্রিত হয়। পানির শূন্যতায় ব্রেইনে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। স্বাভাবিক কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটে।
🥘 ৬।। অতিরিক্ত ভোজন
অতিরিক্ত ভোজন এবং বিশৃঙ্খল খাদ্যাভাস একটি মারাত্মক বদভ্যাস। এটি ব্রেইনের নিউরোবায়োলজি সিস্টেমকে নষ্ট করতে থাকে। ফলে ব্রেইনের সেল বা কোষগুলো ধ্বংস হতে থাকে। এতে করে ব্রেইনের গঠন পরিবর্তিত হতে পারে। হার্টের বিট বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ব্রেইনে অক্সিজেন চলাচল কমে যায়। ফলে ব্রেইন দুর্বল হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত ভোজন স্থূলতাকে বাড়িয়ে দেয় এবং ডায়বেটিক্সের ঝুঁকি বৃদ্ধিতে প্রভাব বিস্তার করে।
👊 ৭।। মাত্রাতিরিক্ত চিনি
মিষ্টি কার না ভালো লাগে। ডেজার্ট বা খাবার পর মিষ্টি খেলে তা হজমে সহায়তা করে। যে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবারই মুখরোচক। বিভিন্ন উৎসবের সাথেও মিষ্টি খাবার একটি অপরিহার্য অংশ। আর মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরির প্রধান উপকরণ হলো “চিনি”। কিন্তু আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, অতি ভোজন, দুর্বল স্মৃতিশক্তি গঠন, কোন কিছু শেখায় অনাগ্রহ এবং অবসাদ ইত্যাদির সাথে অতিরিক্ত চিনির কোন না কোন ধরণের যোগসূত্র রয়েছে। ব্রেইন বা মস্তিষ্কে মাত্রাতিরিক্ত চিনি আমাদের স্মরণশক্তি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ উভয়ক্ষেত্রেই ক্ষতিসাধন করে। একই সাথে মনোযোগের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের চিনি ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাছাড়া ডায়বেটিক্সের উপর চিনির আলাদা একটি প্রভাব রয়েছে। এর ফলে রক্ত গঠন নষ্ট হয়ে যায়। সেই জন্য চিনির অভাব সরাসরি চিনি বা পরিশ্রুত চিনির দ্বারা পূরণ না করে ফলমূলের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে পূরণ করলে শরীর এবং ব্রেইনের জন্য ভালো ও উপকারি তো বটেই।
উক্ত বদভ্যাসগুলো ছাড়াও দীর্ঘক্ষণ মোবাইলের ব্যবহার, বায়ু দূষণ, অসুস্থ অবস্থায় কাজ করা, কদাচিৎ কথা বলা বা একেবারেই কম কথা বলা, মস্তিষ্ককে কাজে ব্যস্ত না রাখা অর্থাৎ সুস্থ ও ইতিবাচক চিন্তার খোরাকি যোগাড় না করা- ইত্যাদি কারণেও আপনার ব্রেইনটি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।

Comments

Popular posts from this blog

SSC Board Question 2020 | ২০২০ সালের এসএসসি বোর্ড প্রশ্ন

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গতবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী কমেছে সাড়ে ৮৭ হাজার। চলতি বছর ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি, ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী দাখিল এবং ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫জন শিক্ষার্থী এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শিক্ষা ও প্রযুক্তি সাইটে উক্ত পরীক্ষার সকল প্রশ্ন ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে যাতে করে পরবর্তী বছরগুলোতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলো অনুশীলন ও পর্যালোচনার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুতিকে আরো বেগবান করতে পারে। বাকী প্রশ্নগুলো পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই আপলোড করা হবে। বোর্ডকর্তৃক যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপ- পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের তাদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/ রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষ...

SSC Board Questions | এসএসসি সকল বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯

বিগত ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর ২১ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এবার মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা হলো ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন।  শিক্ষা ও প্রযুক্তি সাইটে উক্ত পরীক্ষার সকল প্রশ্ন ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে যাতে করে আগামী বছরগুলোতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলো অনুশীলন ও পর্যালোচনার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুতিকে আরো বেগবান করতে পারে। ২০২০ সালের প্রশ্নগুলো পেতে নিম্নে প্রদত্ত লিংকে ভিজিট করুন। https://edutechinfobd.blogspot.com যথারীতি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলোর মধ্যে সব শিক্ষার্থীর মাঝে ইংরেজি ও গণিত পরীক্ষা নিয়ে একটা আলাদা টেনশন লক্ষ করা যায়। এ বছর এসএসসি ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় ৪নং সেটের প্রশ্নপত্রটি নির্বাচিত হয়। তিন ঘন্টার এই পরীক্ষায় পুরোটায় লিখিত। অর্থাৎ ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে এবং অন্যান্য বিষয়ের মতো এই পরীক্ষায় কোন নৈর্ব্যক্তিক থাকে না। পরীক্ষায় যে সকল প্রশ্ন বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে সেগুলো হলো- প্রথম সিন প্যাসেজটি এসেছে বোর...

JSC Board Question | বিভিন্ন বছরের জেএসসি পরীক্ষার বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ

জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষাটি ২০১০ সালে শুরু হয়। ৮ম শ্রেণিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বোর্ড পরীক্ষাটি শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার মধ্য দিয়ে তাকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে হয়। জেএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য না হলে কোন শিক্ষার্থী পরবর্তী শ্রেণি অর্থাৎ ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে না। ফলে শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়বে। কাজেই একজন শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক পাশের জন্য এই ধাপটিতে উত্তীর্ণ হওয়া অত্যন্ত জরুরী। পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল করার জন্য নিয়মিত প্রস্তুতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেক্ষেত্রে প্রচলিত সিলেবাস অনুযায়ী বিভিন্ন বছরের বোর্ড পরীক্ষায় আসা প্রশ্নসমূহের বিশ্লেষণ দ্বারা একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুসরণ করলে প্রস্তুতিটি স্বার্থক হয়। আর এই বিষয়টিকে আমলে নিয়ে edutechinfobd ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছরের পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ অনলাইনে সংরক্ষণ করার কাজ শুরু করেছে। এটিকে জেএসসি পরীক্ষার বিগত বছরগুলির প্রশ্ন ব্যাংক কিংবা আর্কাইভ হিসেবে তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, শুধুমাত্র শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষদেরও অনেক সময় বিগতবছরের প্রশ্নের তথ্য উ...

© EdutechinfoBD 2017-2025