edutechinfobd.blogspot.com |
মাইক্রোসফট উইন্ডোজের আরেকটি নতুন ভার্সন আজকে (২৪/০৬/২০২১) উদ্বোধন করা হলো। উইন্ডোজ-11 নামে এটিকে নামকরণ করা হয়েছে। যদিও মাইক্রোসফট ২০১৪ সালে উইন্ডোজ-10 রিলিজ করার সময় বলেছিল এটি হবে তাদের সর্বশেষ উইন্ডোজ ভার্সন এবং পরবর্তীতে যদি কোনো আপডেট আসে তবে তা এই ভার্সনের মধ্য দিয়েই উইন্ডোজ আপডেটের মাধ্যমে গ্রাহকরা পেয়ে যাবে। মাইক্রোসফট দাবি করেছিল উইন্ডোজ-10 হলো তাদের এ যাবৎ কালের শ্রেষ্ঠ অপারেটিং সিস্টেম। এরপর আর কোন অপারেটিং সিস্টেম/ভার্সন কোম্পানিটি তৈরি করবে না।
কিন্তু সাত বছরের মাথায় হুট করে মাইক্রোসফট তাদের দাবি থেকে সরে এসে উইন্ডোজ-11 রিলিজ করার ঘোষণা দেয়। এটিকে নেক্সট জেনারেশন উইন্ডোস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ইতিমধ্যেই এটির বেটা ভার্সন অনলাইনে লিক হয়ে যায়।হলে সেটি থেকে ইউজাররা উইন্ডোজ-11 এর ইউজার ইন্টারফেস পরিবর্তনসহ নানাবিদ পরিবর্তন পরিলক্ষিত করেন। এবং ইউজার ইন্টারফেসগত নানা ধরনের পরিবর্তিত বিষয়গুলো ব্যবহারকারীদের প্রবল ভাবে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। খুবই চমৎকার ইউজার ইন্টারফেস উইন্ডোজ 11 মূল আকর্ষণ হবে বলে মনে করছে ব্যবহারকারীরা।
এটি ব্যবহারের জন্য গ্রাহকদের সিস্টেমের যে রিকোয়ারমেন্টস রয়েছে সেটি উইন্ডোজ 10 এর রিকোয়ারমেন্টস এর সমতুল্য। মিনিমাম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস কনফিগারেশনটি নিম্নরূপ-
Processor: 1 GHz
Memory (RAM): 1 GB (For 32 Bit), 2 GB (For 64 Bit)
Minimum Space: 16 GB Free Hard Disk Space
অন্যদিকে উইন্ডোজ 10 এর তুলনায় এই ভার্সনটির গতি অনেক বেশি। যা গ্রাহকদের বা ব্যবহারকারীদের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের অভিজ্ঞতার পূর্ববর্তী যে ধারণা ছিল সেটিতে আমূল পরিবর্তন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তাছাড়া অ্যাপ স্টোর খ্যাত যে সফটওয়্যার ভান্ডার রয়েছে সেটিকেও উন্মুক্ত করার ব্যাপারে মাইক্রোসফট আগেই ঘোষণা দিয়েছিল। এই বিষয়টি সফটওয়্যার ডেভেলপারদের অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য বিশেষ একটি সুসংবাদ হতে পারে। কেননা এতে অ্যাপ ডেভেলপাররা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন সহায়ক অ্যাপস তৈরি করে নিজেরাই অ্যাপ স্টোরে আপলোড করতে পারবেন। এটিকে গুগল প্লে স্টোর এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
তবে এটির বাজার দর কেমন হবে এবং উইন্ডোজ 10 এর লাইসেন্স কী ব্যবহার করে এটিকে এক্টিভেট করা যাবে কিনা এ ব্যাপারে অনলাইনে ব্যবহারকারীদের মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যাই হোক আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে। সবমিলিয়ে উইন্ডোজ 11 সত্যিকার অর্থেই হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অপারেটিং সিস্টেম যা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন, ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং গতিশীল কম্পিউটার ব্যবহারের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। বিস্তারিত জানতে microsoft-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
0 comments:
__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__