দেশে পিইসি (Primary Education Completion), জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাসমূহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত হয়ে থাকে। এদের মধ্যে গড়ে প্রায় ২৫-৩০ লাখ শিক্ষার্থী পিইসি, ২০-২২ লাখ শিক্ষার্থী জেএসসি, ১৬-১৮ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি এবং ১১-১৩ লাখ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। শিক্ষার্থীরা ফলাফল প্রকাশের পর বোর্ডসমূহের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তাঁদের ফলাফল দেখতে পায়। নিম্নে বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা ফলাফল দেখার জন্য লিংক তৈরি করে দেয়া আছে যাতে সহজেই যে কোন অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীরা তাঁদের সংশ্লিষ্ট ফলাফল দ্রুত দেখার সুযোগ পায়। সাধারণত ফলাফল প্রকাশের দিন শিক্ষার্থীরা কেবল তাঁদের প্রাপ্ত ফলাফল বা জিপিএ দেখার সুযোগ পায়। পরের দিন থেকে শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাঁদের ফলাফলের বিষয় ভিত্তিক বিস্তারিত দেখতে পায়। কেননা ফলাফল প্রকাশের দিন সার্ভারে অতিরিক্ত চাপ পড়ে থাকে, ফলে অতিরিক্ত চাপ এড়াতে ফলাফল প্রকাশের দিন ব্যক্তিগত ফলাফলের ক্ষেত্রে বিস্তারিত জানার সুযোগ থাকে না। অন্যদিকে, ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার জন্য পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকে সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নির্ধারিত ফি প্রদান করে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ পায়। তাঁদের প্রাপ্ত ফলাফলকে পুণরায় মূল্যায়ণ করার জন্যই সাধারণ এই আবেদন করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আরো দুই সপ্তাহ সময় নেওয়া হয়ে থাকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য মোতাবেক নিম্নোক্ত ১০টি শিক্ষা বোর্ড প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
পক্ষান্তরে, শিক্ষার মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন ও চিন্তাগ্রস্ত আছেন আমাদের শিক্ষা সচেতন অভিভাবক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকবৃন্দ। বর্তমানে প্রচলিত সৃজনশীল পদ্ধতির বোধগম্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। পদ্ধতিটি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ প্রচলিত থাকলেও শিক্ষার্থীরা তা সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছে না। শিক্ষকদের মধ্যেও রয়েছে এ বিষয়ে ঘাটতি। যদিও সরকার বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে, এই পদ্ধতিটি বিশ্বে তেমনভাবে প্রচলিত নয়। তাছাড়া আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও ঘাটতি রয়েছে। পাঠ্যপুস্তকগুলোর মান নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। সব মিলিয়ে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। আশা করা হচ্ছে অচিরেই এই সমস্যাসমূহ দূরীভূত হবে। নচেৎ আমাদের শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যে ধরণের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা দরকার তা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এখনো সংযোজন করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে না পারলে কেবলমাত্র পাশ করা কিংবা সনদধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যাই কেবল বাড়বে। কিন্তু সেই সনদ কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁদেরকে কতটা গড়ে তুলতে পারবে বা দেশ ও জাতির কল্যাণ আনয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে তা এখনো একটি প্রশ্ন। আশা করি কর্তৃপক্ষ জাতির কল্যাণ আশু ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট হবেন।
ফলাফল প্রকাশের দিন সকাল ১০টা নাগাদ তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। অতপর, বোর্ডসমূহ তা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিতরণ শুরু করে। পর্যায়ক্রমে সকল প্রতিষ্ঠান তাদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রিন্ট আউট কপি বা হার্ড কপি ফলাফল সংগ্রহ করে। ফলাফল প্রকাশ করার পর শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের ফলাফল জানার সুযোগ পায়। তবে, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা এসএমএস (SMS) প্রদানের মাধ্যমেও এখন খুব সহজেই তাঁদের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল ঘরে বসেই পেতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে আমাদের শিক্ষার্থীরা।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, যশোর
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, সিলেট
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর
- বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
- বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড
পক্ষান্তরে, শিক্ষার মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন ও চিন্তাগ্রস্ত আছেন আমাদের শিক্ষা সচেতন অভিভাবক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকবৃন্দ। বর্তমানে প্রচলিত সৃজনশীল পদ্ধতির বোধগম্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। পদ্ধতিটি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ প্রচলিত থাকলেও শিক্ষার্থীরা তা সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছে না। শিক্ষকদের মধ্যেও রয়েছে এ বিষয়ে ঘাটতি। যদিও সরকার বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে, এই পদ্ধতিটি বিশ্বে তেমনভাবে প্রচলিত নয়। তাছাড়া আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও ঘাটতি রয়েছে। পাঠ্যপুস্তকগুলোর মান নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। সব মিলিয়ে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। আশা করা হচ্ছে অচিরেই এই সমস্যাসমূহ দূরীভূত হবে। নচেৎ আমাদের শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যে ধরণের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা দরকার তা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এখনো সংযোজন করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে না পারলে কেবলমাত্র পাশ করা কিংবা সনদধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যাই কেবল বাড়বে। কিন্তু সেই সনদ কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁদেরকে কতটা গড়ে তুলতে পারবে বা দেশ ও জাতির কল্যাণ আনয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে তা এখনো একটি প্রশ্ন। আশা করি কর্তৃপক্ষ জাতির কল্যাণ আশু ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট হবেন।
বি:দ্র: সাধারণত ফলাফল প্রকাশের দিন দুপুর ১.৩০টা থেকে ২টার মধ্যে ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখার জন্য সার্ভারের লিংক খুলে দেওয়া হয় । এর আগে ফলাফল দেখার সুযোগ থাকে না।
কিভাবে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ দেখতে হয় জেনে নিতে পারেন
ReplyDelete